করোনা ভাইরাসে প্রান গেলো ৫ লাখ এর বেশি
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার ছয় মাসের মাথায় এসে বিশ্বে এ ভাইরাসের সনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গেল। ভাইরাসটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখের বেশি। বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত 10 টা পর্যন্ত বিশ্বে মোট সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল এক কোটি এক লাখ 56 হাজার 527 জন আর মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ 124 জন। বিশ্বে পর্যন্ত যত রোগী শনাক্ত হয়েছে তার 25% হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপের এছাড়া 11 শতাংশ রোগী এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো গত 9 শতাংশ। গত বছর ডিসেম্বরে নতুন ধরনের এই কোন ভাইরাসের সংক্রমণ মানবদেহে ধরা পড়ে; খুব দ্রুত বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা ভাইরাসের নাম দেওয়া হয় নোবেল নতুন করোনাভাইরাস আর এ ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগের নাম দেওয়া হয় কভিড-১৯।
চীনে প্রথম মৃত্যুর 2 দিন পর 13 ই জানুয়ারি থাইল্যান্ডের প্রথম রোগী ধরা পড়ায, জানা যায় চীনের রাষ্ট্রীয় সীমানা পেরিয়ে গেছে এই ভাইরাস তারপর হু হু করে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। দেড় মাসের মধ্যে আন্টার্টিকা বাদে সব মহাদেশেই ধরা পড়ে এ রোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তখনই পরিচিতিকে মহামারী অ্যাখাতী করে কঠোর লকডাউন চীনে তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ততদিন ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্র এবং পরে রাশিয়ার ব্যাপক মাত্রায় কোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর চার মাসের মাথায় পহেলা এপ্রিল বিশ্বে সনাক্ত রোগীর সংখ্যা 10 লাখ এর পরের সপ্তাহে আরও 40 লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় একুশে মে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধ কোটি ছাড়িয়ে যায় এরপর পাঁচ সপ্তাহের মাথায় সেই সংখ্যা কোটিতে পৌঁছে গেল। এখন এ ভাইরাসের বিস্তারের নতুন উপকেন্দ্র হয়ে উঠেছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। বিশেষ করে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত গত একসপ্তাহে বিশেষত্ব নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে তার এক তৃতীয়াংশ এ দুটো দেশে। গত 19 জুন ব্রাজিলের রেকর্ড ৫৪হাজার ৭০০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। আর ভারতে 27-6-20 ১৯ হাজার ৯০০ রোগী সনাক্তের সংখ্যা ছিল সেখানে একটি দিনে সর্বোচ্চ। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে কোন ভাইরাসের মৃত্যু ইতিমধ্যে এক লাখ ছাড়িয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে তাদের 380000 হতে পারে বলে পূর্বাভাস এসেছে এক গবেষণায়। কঠোর বিধিনিষেধ মহামারী অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার পর নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াতেও গতমাসে কিছু কিছু নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে সেখানে 25 লাখ 10 হাজার মানুষের বেশি দেহে করনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। বিধি নিষেধের মধ্যে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমনের গতি কিছুটা কমে এলেও লকডাউন তুলে দেওয়ার পর এখন তা আবার বাড়ছে আগে মতো। যেসব এলাকায় সংক্রমনের বাইরে ছিল এখন সেসব এলাকাতেও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার খবর আসছে। এছাড়া ব্রাজিলে ১৩ লাখ ১৩ হাজার,রাশিয়ায় ৬ লাখ ৩৩ হাজার, ভারতে ৫ লাখ ২৮ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের ৩ লাখ ১১ হাজার কভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে